রাজশাহীর তানোরে সরকারি খাদ্য গুদামের চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফি কামাল মিন্টুকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে গুদাম কর্মকর্তা ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে কামারগাঁ খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতিকুর রহমানের অধীনে খাদ্যবান্ধব (ভিডাব্লিউভি) প্রকল্পের আওতায় দুঃস্থদের জন্য চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছিল। প্রত্যেকের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও প্রতি বস্তায় তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত কম পাওয়া যায়। ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু বিষয়টি জানতে চাইলে কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন।
চেয়ারম্যান সুফি কামাল মিন্টু জানান, “খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলনের পর ৫০ কেজির শতাধিক বস্তায় গড়ে তিন থেকে চার কেজি করে কম পাওয়া যায়। আমি বিষয়টি জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনার কোনো কথা চলবে না।’ এরপর তার ভাড়াটিয়া মশিউর রহমান পায়ের জুতা খুলে আমাকে পেটাতে থাকে। এর পর গুদামের মূল গেটে তালা মেরে আমাকে আটকে রাখে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দ্রুত ইউএনও স্যারকে ফোনে বিষয়টি জানাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এসে আমাকে উদ্ধার করেন এবং গুদামের চাল পুনরায় ওজন করে কম থাকার সত্যতা পান। পরে গুদাম থেকে ৬ বস্তা চাল জরিমানা হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়।”
অভিযুক্ত গুদাম কর্মকর্তা আতিকুর রহমান রাজশাহীর সময়কে বলেন, “চাল বের হয়ে যাওয়ার পর আমার আর কিছু করার ছিল না। চেয়ারম্যান আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন, আমি নয়।”
তবে কেন তার ভাড়াটিয়া মশিউর গুদামে উপস্থিত ছিল এবং কেন চেয়ারম্যানকে জুতা দিয়ে মারধর করে আটকে রাখা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মলিউজ্জামান সজিব বলেন, “ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্মকর্তাকে দ্রুত বদলি করতে হবে, নইলে পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতিকুর রহমানের অধীনে খাদ্যবান্ধব (ভিডাব্লিউভি) প্রকল্পের আওতায় দুঃস্থদের জন্য চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছিল। প্রত্যেকের জন্য ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও প্রতি বস্তায় তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত কম পাওয়া যায়। ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু বিষয়টি জানতে চাইলে কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন।
চেয়ারম্যান সুফি কামাল মিন্টু জানান, “খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলনের পর ৫০ কেজির শতাধিক বস্তায় গড়ে তিন থেকে চার কেজি করে কম পাওয়া যায়। আমি বিষয়টি জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনার কোনো কথা চলবে না।’ এরপর তার ভাড়াটিয়া মশিউর রহমান পায়ের জুতা খুলে আমাকে পেটাতে থাকে। এর পর গুদামের মূল গেটে তালা মেরে আমাকে আটকে রাখে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দ্রুত ইউএনও স্যারকে ফোনে বিষয়টি জানাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এসে আমাকে উদ্ধার করেন এবং গুদামের চাল পুনরায় ওজন করে কম থাকার সত্যতা পান। পরে গুদাম থেকে ৬ বস্তা চাল জরিমানা হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়।”
অভিযুক্ত গুদাম কর্মকর্তা আতিকুর রহমান রাজশাহীর সময়কে বলেন, “চাল বের হয়ে যাওয়ার পর আমার আর কিছু করার ছিল না। চেয়ারম্যান আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন, আমি নয়।”
তবে কেন তার ভাড়াটিয়া মশিউর গুদামে উপস্থিত ছিল এবং কেন চেয়ারম্যানকে জুতা দিয়ে মারধর করে আটকে রাখা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মলিউজ্জামান সজিব বলেন, “ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্মকর্তাকে দ্রুত বদলি করতে হবে, নইলে পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হতে পারে।
প্রতিনিধি :